কেন এই জরিপ?
আমরা জানি যে, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে উঠবে আজকের তরুণদের হাত ধরে। কিন্তু বর্তমান তরুণ সমাজ কি আদৌ রাজনৈতিক নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত? কী ধরনের দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে তাদের মাঝে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতেই ১২৩ জন তরুণের অংশগ্রহণে একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়।
মূল ফলাফল সারসংক্ষেপ:
জনতাত্ত্বিক প্রোফাইল:
লিঙ্গবিন্যাস: নারী ৪৭.৯৭%, পুরুষ ৫২.০৩%।
গড় বয়স: ২৩.৩৪ বছর, যা তরুণদের আধিপত্যকে স্পষ্ট করে।
পেশা: ৮০% এর বেশি উত্তরদাতা শিক্ষার্থী।
রাজনৈতিক সংযুক্তি ও প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা:
৮৬.১৮% কোনো রাজনৈতিক বা নেতৃত্ব সংস্থার সাথে যুক্ত নয়।
৮৫.৩৭% আগে কোনো রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি।
দক্ষতার ঘাটতি (শীর্ষ ৩):
নৈতিক নেতৃত্ব – ৩৩.৬১%
কৌশলগত চিন্তা – ২৭.৮৭%
নীতিমালার জ্ঞান – ২৫.৪১%
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বগুণ (শীর্ষ ৫):
দ্বন্দ্ব সমাধান – ২১.৪৩%
যুব সংযুক্তিকরণ – ১৯.১৪%
সংবিধানিক জ্ঞান – ১৭.৭১%
সাবলীল বক্তব্য প্রদান – ১৭.৭১%
প্রচার কৌশল – ১২.৫৭%
প্রশিক্ষণে চাওয়া টপিক (শীর্ষ ৫):
শাসন কৌশল।
নীতি প্রণয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
কার্যকর যোগাযোগ দক্ষতা।
আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষকদের মেন্টরশিপ।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস।
রাজনৈতিক লিডারশিপ বুটক্যাম্পে আগ্রহ:
৪৬.৩৪% সরাসরি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
প্রশিক্ষণের সম্ভাব্য প্রভাব (মতামত বিশ্লেষণ):
নৈতিক ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব তৈরি হবে: গড় স্কোর ৩.৮৫
বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক সহিংসতা কমাতে সাহায্য করবে: গড় স্কোর ৩.৬৮
নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে: গড় স্কোর ৩.৪৭
বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বাড়বে: গড় স্কোর ৩.৫৮
যুবদের রাজনৈতিক আগ্রহ বাড়াবে: গড় স্কোর ৩.৮১
তবে বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে তরুণ নেতৃত্ব বিকাশের সহায়ক মনে করছেন না বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী — এটা ভবিষ্যৎ উদ্যোগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
শেষ কথা: জরিপটি একেবারে স্পষ্ট করে বলছে—বাংলাদেশের তরুণরা রাজনৈতিক নেতৃত্বে অংশ নিতে চায়, কিন্তু তাদের রয়েছে গাইডেন্স, স্কিল ও প্ল্যাটফর্মের অভাব। এখন সময়, রাজনৈতিক দলগুলো নিজ উদ্যোগে যুগোপযোগী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম শুরু করে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গড়ে তোলার।